Advertisement

Responsive Advertisement

Advertisement

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬.২১ ট্রিলিয়ন ডলারে

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ এখন ৩৬.২১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে—এটি একটি অবিশ্বাস্য সংখ্যা যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রেক্ষাপটে বোঝা কঠিন। আসুন এই বিশাল সংখ্যাটিকে বাস্তব জীবনের সাথে তুলনা করে বোঝার চেষ্টা করি।

বিশ্বের মোট জিডিপির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ

২০২৪ সালে বিশ্বের মোট জিডিপি আনুমানিক ১০৫ ট্রিলিয়ন ডলার। তার মধ্যে এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণই প্রায় ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার—অর্থাৎ বিশ্বের মোট উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশের সমান ঋণ!

একটি দেশের ঋণ পুরো বিশ্ব অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশের সমান হওয়া সত্যিই অবাক করার মতো। এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা অর্থনীতিবিদদের জন্য গভীর চিন্তার বিষয়।

Advertisement

প্রতি আমেরিকান নাগরিকের ওপর ১ লাখ ডলারের বেশি ঋণ

যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা আনুমানিক ৩৩ কোটি। এই হিসেবে প্রতি নাগরিকের ভাগে পড়ে প্রায় ১,১০,০০০ ডলারের ঋণ।

  • একটি মধ্যবিত্ত আমেরিকান পরিবারের গড় বার্ষিক আয় ≈ $৭০,০০০
  • গড় বাড়ির দাম ≈ $৪০০,০০০
  • গড় শিক্ষা ঋণ ≈ $৩৫,০০০

এই অর্থ দিয়ে কী করা যেত?

১ ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে পৃথিবীজুড়ে উচ্চগতির রেললাইন বসানো যেতো ১০,০০০ কিমি। ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার হলে, প্রায় তিনবার সমগ্র পৃথিবীকে ঘিরে রেললাইন বানানো সম্ভব!

বিষয় খরচ
মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপন ~$১ ট্রিলিয়ন
বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ (১০ বছর) ~$৩ ট্রিলিয়ন
বিশ্বের সবাইকে COVID-19 ভ্যাকসিন প্রদান ~$০.০২৫ ট্রিলিয়ন

Advertisement

এই ঋণ কীভাবে বাড়ল?

যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলো:

  1. যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষা খরচ (ইরাক, আফগানিস্তান যুদ্ধ)
  2. ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট ও COVID-19 মহামারীর সময়ের প্রণোদনা প্যাকেজ
  3. কর হ্রাস নীতি
  4. স্বাস্থ্য ও পেনশন খাতে বর্ধিত ব্যয়
  5. সরকারের আয়ের তুলনায় ব্যয়ের অতিরিক্ত পরিমাণ

ভবিষ্যত প্রভাব

অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে এই ঋণের বোঝা ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা হতে পারে:

  • উচ্চতর করের হার
  • মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি
  • অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস
  • সামাজিক সুযোগ-সুবিধা কমানো

Post a Comment

0 Comments