ইসরায়েল বনাম ইরান: দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনা
২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে সামরিক শক্তির পরিসংখ্যান
বর্তমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনামূলক বিশ্লেষণ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই প্রতিবেদনে আমরা দুই দেশের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, মিসাইল প্রযুক্তি ও পারমাণবিক ক্ষমতার বিস্তারিত তুলনা উপস্থাপন করছি।
সামরিক শক্তির সারাংশ
ইসরায়েল
সক্রিয় সৈন্য:
১৬৯,৫০০
সংরক্ষিত সৈন্য:
৪৬৫,০০০
সামরিক বাজেট:
$২৪.৩ বিলিয়ন
পারমাণবিক অস্ত্র:
৮০-৯০টি (অনুমান)
প্রধান মিত্র:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ইরান
সক্রিয় সৈন্য:
৫৭৫,০০০
সংরক্ষিত সৈন্য:
৩৫০,০০০+
সামরিক বাজেট:
$১৫.৮ বিলিয়ন
পারমাণবিক অস্ত্র:
অনির্ধারিত (সন্দেহভাজন)
প্রধান মিত্র:
রাশিয়া, চীন
বিস্তারিত সামরিক ক্ষমতার তুলনা
| ক্ষেত্র | ইসরায়েল | ইরান |
|---|---|---|
| সক্রিয় সামরিক ব্যক্তি | ১৬৯,৫০০ | ৫৭৫,০০০ |
| ট্যাংক | ১,৩০০+ | ২,৮০০+ |
| যুদ্ধবিমান | ৩৪৫ | ৩৩৫ |
| অ্যাটাক হেলিকপ্টার | ৪৮ | ১২৫ |
| নৌযান | ৬৭ | ৩৯৮ |
| সাবমেরিন | ৫ | ১৯ |
| ব্যালিস্টিক মিসাইল | জেরিকো সিরিজ | শাহাব, এম্বার, খোরামশাহর |
| ড্রোন ক্ষমতা | উন্নত | অঞ্চলে শীর্ষ |
প্রযুক্তিগত সুবিধার তুলনা
ইসরায়েলের শক্তি
- মার্কিন প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক সজ্জিত
- বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম (আয়রন ডোম)
- উন্নত সাইবার যুদ্ধ ক্ষমতা
- উচ্চ প্রশিক্ষিত বিশেষ বাহিনী
- নাটোর সাথে ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগিতা
- উন্নত গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক (মোসাদ)
ইরানের শক্তি
- স্থানীয়ভাবে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি
- বৃহৎ মিসাইল আর্সেনাল
- প্রক্সি যুদ্ধে অভিজ্ঞতা (ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক)
- হরমুজ প্রণালী নিয়ন্ত্রণের কৌশলগত অবস্থান
- অনেক সংখ্যক অনিয়মিত বাহিনী
- রাশিয়া ও চীনের সাথে সামরিক সহযোগিতা
ভূ-কৌশলগত অবস্থান
ইসরায়েল আঞ্চলিকভাবে মার্কিন সমর্থিত দেশগুলোর দ্বারা বেষ্টিত, অন্যদিকে ইরান ইরাক, সিরিয়া, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথিদের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে। ইসরায়েলের সামরিক শক্তি গুণগতভাবে উন্নত হলেও ইরানের ভৌগলিক অবস্থান এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে তার প্রভাব একটি বড় সুবিধা প্রদান করে।
0 Comments