ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে কুরআনের আয়াত: সূরা আনফালের বিশেষ বার্তা

ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ছোড়া একটি ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিচ্ছিন্ন বুস্টার উত্তর জর্ডানে খুঁজে পাওয়া গেছে। বিশেষ বিষয় হলো, বুস্টারটির গায়ে পবিত্র কুরআনের সূরা আল-আনফালের ১৭ নম্বর আয়াত খোদাই করে লেখা ছিল।
ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বার্তা বিশ্লেষণ
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্রে কুরআনের আয়াত খোদাই করা ইরানের জন্য নতুন কিছু নয়। ইরানি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) প্রায়ই তাদের অস্ত্রে ধর্মীয় উদ্ধৃতি সংযোজন করে থাকে।
এই বিশেষ আয়াতটি বদর যুদ্ধের প্রসঙ্গে নাজিল হয়েছিল, যেখানে সংখ্যায় কম মুসলিম বাহিনী আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ করেছিল। ইরান সম্ভবত এই বার্তা দিতে চেয়েছে যে তাদের সামরিক কর্মকাণ্ডে ঐশী সহায়তা রয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত বিবরণ
খুঁজে পাওয়া বুস্টারটি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এটি ছিল ইরানের তৈরি "এম্বার" শ্রেণির একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ২,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাল্লার হতে পারে।
জর্ডানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুস্টারটি জনবসতিহীন একটি মরু অঞ্চলে পাওয়া গেছে এবং এতে কোনো বিস্ফোরক অবশিষ্ট ছিল না। ক্ষেপণাস্ত্রটির বাকি অংশ পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ইরানের ধর্মীয় প্রতীককে অস্ত্রে ব্যবহার করার নিন্দা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইরানি মিডিয়া এটিকে "আল্লাহর বার্তা বহনকারী" হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
ধর্মীয় নেতারা এই ধরনের অস্ত্রে পবিত্র কুরআনের আয়াত ব্যবহারকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কিছু বিশেষজ্ঞ এটিকে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার হিসেবে দেখছেন।
0 Comments