সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে প্রশ্ন

গুরুতর অভিযোগ: সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের মুক্তিযোদ্ধা সনদের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোথায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং কোথায় যুদ্ধ করেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ নিয়ে তিনি নিজেও কখনো স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দেননি।
১৯৯৬ সালে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্তি
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট প্রকাশ করা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ভারতে প্রশিক্ষণ নেওয়া ৫১ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তাঁর নাম নেই বলে দাবি করা হচ্ছে।
দলিলপত্র ঘাটাঘাটির অভিযোগ: জাতীয় জাদুঘরে রাখা ১৯৮৬ সালে তৈরি লাল মুক্তিবার্তার ভলিউম ঘষামাজা করে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি তদন্ত শুরু
তদন্তের সিদ্ধান্ত: মোজাম্মেল হকসহ বিগত সরকারের সাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে 'ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা'র অভিযোগ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান সরকার। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই শুরু করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।
মুক্তিযুদ্ধের অপব্যবহারের অভিযোগ
সমালোচকরা দাবি করছেন, গত ১৬ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে গুম-খুন ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের নামে ভুয়া সনদ বিতরণ এই অপপ্রচেষ্টারই অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ঐতিহাসিকদের প্রতিক্রিয়া: জাতীয় ইতিহাসের সাথে এই ধরনের কার্যকলাপ দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে বলে মনে করেন ইতিহাসবিদরা। তাঁরা দাবি করছেন, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা পুনঃনিরীক্ষণ এবং দলিল-প্রমাণ ভিত্তিক যাচাই-বাছাই জরুরি।
0 Comments